দাদন ব্যাবসায়ীর কবলে নারী রেমিটেন্স যোদ্ধা , মোছাঃ শারমিন আক্তার। 152 0
ছবি -ভুক্তভোগী মোছাঃ শারমিন আক্তার।
শাহ রায়হান বারী
দাদন ব্যাবসায়ীর কবলে নারী রেমিটেন্স যোদ্ধা, প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা -প্রতিবেদক শাহ মো রায়হান বারী,
ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় একজন ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার ও একজন দাদন ব্যাবসায়ী দাপটে ও অত্যাচারের কারনে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে বেরাচ্ছেন এক প্রবাসী ফেরৎ মোছাঃ শারমিন আক্তার। বিশেষ সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে শারমিন আক্তার খুবই অভাব অনটনের মধ্যে দিনাতিপাত করছিলেন। তাতে ছিল মাথায় দেনা পাওনার বোঝা। দুই সন্তান নিয়ে কি করবে ভেবে পাচ্ছিলেন না তিনি । এই সুযোগ বুঝে লোভনীয় চোখে তাকায় স্থানীয় কলাপিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সিরাজনগর গ্রামের মঙ্গল মাতবর এর ভাই হরমোজ আলী । এই হরমোজ আলী শারমিন কে বিভিন্ন অংকে টাকা সুদ দিতে থাকেন এবং শারমিনও যথা সময়ে সুদ সহ টাকা পরিশোধ করতে থাকেন । মাঝে মাঝে টাকা দিতে বিলম্ব হলে হরমোজ আলী শারমিন কে যৌন হয়রানি করতেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। কিন্তু এক পর্যায়ে যখন এই টাকায় শারমিন আক্তারের অভাব আর দেনা দূর হচ্ছিল না ঠিক তখনি পরিচয় হয় নবাবগঞ্জ থানার দৌলতপুরের মেম্বার আরমান আলীর সাথে। আরমান আলীও একই ভাবে প্রথমে শারমিনের বিশ্বাস অর্জন করেন এবং এক লক্ষ টাকা সুদ দিয়ে সহযোগিতা করেন বলে দাবি শারমিন আক্তারের। এবার শারমিন আক্তার ইনকামের সোর্স না থাকায় আর দেনা পরিশোধ করতে পারছিলেন না। সে কারনেই আরমান আলী মেম্বার এবং একই গ্রামের হরমোজ আলী সুযোগ বুঝে তাকে যৌন হয়রানি করতে বাধ্য করে। শারমিন আক্তার যৌন হয়রানি সহ্য করতে না পেরে একদিন বাসা থেকে তাদের ভয়ে পালিয়ে যায়। পরে আরমান আলী এবং হরমোজ আলী ভয় দেখায় টাকা না দিলে মামলা করবে সে কারনেই শারমিন আক্তার গত জুন মাসের দুই তারিখে ২০১৯ ইং সৌদি আরব পাড়ি জমান কাজের সন্ধানে এবং সেখানে গিয়ে হরমোজ আলীর সব টাকা পরিশোধ করেন ও আরমান আলীকে পঞ্চাশ হাজার টাকা পরিশোধ করে দেন বলে তিনি জানান । এ বিষয়ে আরমান আলীর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি কখনো এক লাখ ত্রিশ হাজার আবার কখনো তিন লাখ ত্রিশ হাজার টাকা পাবেন বলে দাবি করেন ও আবার কখনো মাত্র ত্রিশ হাজার টাকা পেয়েছেন বলে দাবি করেন এবং হরমোজ আলীর সাথেও মুঠোফোনে কথা হলে তিনি কখনো বলেন আমি এক লাখ টাকা দিয়েছি আবার কখনো বলেন আমি দুই লাখ টাকা দিয়েছি, টাকা পাওয়ার ব্যাপারে কথা হলে তিনি বলেন বিচারে দুইলাখ টাকা দাবি করে আমি এক লাখ টাকা পাইছি এবং আরো একলাখ টাকা পাবেন বলে প্রতিবেদক কে জানান। রেমিটেন্স যোদ্ধা শারমিন আক্তারের দাবি হরমোজ আলীর সব টাকা পরিশোধ করার পরেও সে সুদ দাবি করে যে আরো এক লক্ষ টাকা পাবে বলে চাপ দেয়। এই অযু হাতে সে শারমিন আক্তারকে বিভিন্ন ভাবে ফোনে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এবং আরমান আলীও একইভাবে শারমিন আক্তার কে কু প্রস্তাব দিয়ে আসছে। এবং শারমিন আক্তার আরো জানান দেশে ফিরে গেলেই তাকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে, এই ভয়ে দেশে ফিরেও গ্রামে যেতে পারছেন না রেমিটেন্স যোদ্ধা শারমিন আক্তার। তিনি হরমোজ আলী ও আরমান আলীকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।